
সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নবাবগঞ্জ পৌরসভাধীন নামোশংকরবাটী উচ্চ বিদ্যালয় সর্বপ্রথম ১৯২৭ ইং সালের তৎকালীন স্থানীয় জনগন ও সুধীবৃন্দের সাহায্য-সহযোগিতায় বাগানপাড়া গ্রামে জুনিয়র মাদ্রাসা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পরবর্তীকালে শিক্ষা নীতি পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে জুনিয়র মাদ্রাসাটি ১৯৬১ ইং সালে জুনিয়র হাই স্কুল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। দেশ স্বাধীন হবার পর এলাকাবাসী ছেলেমেয়েদের স্থানীয়ভাবে উচ্চ শিক্ষার বৃহত্তর স্বার্থে ও কল্যানে শিক্ষানুরাগী সুহৃদয় ব্যক্তিদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ও সার্বিক সহযোগিতায় ইং ১৯৭৩ সালে উচ্চ বিদ্যালয়ে উন্নীত হয়। কিন্তু উল্লেখিত স্থানে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার স্বীকৃতির শর্তানুযায়ী প্রয়োজনীয় পরিমান জমির সংকুলান না হওয়ায় বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত স্থানে প্রাথমিক পর্যায়ে ৪৫ শতক জমি খরিদ করে বিদ্যালয়ের ভিত্তি স্থাপন করা হয়। পরে স্থানীয় জনসাধারনের সাহায্য ও সহযোগিতায় বিদ্যালয় সংলগ্ন আরও কিছু জমি খরিদ করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ের মোট জমির পরিমান ১ একর ৭০ শতাংশ।
ইং ১৯৭৫ সালে অত্র বিদ্যালয় হতে ছাত্র-ছাত্রীরা সর্বপ্রথম এস.এস.সি পরিক্ষায় অংশ নিয়ে আশানুরূপ সাফল্য অর্জন করে। প্রতি বছর বিদ্যালয়ে জে.এস.সি ও এস.এস.সি পরিক্ষার ফলাফল সন্তোষজনক যা অদ্যাবধি প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও গৌরবের স্বাক্ষর বহন করে আসছে। তাছাড়া জুনিয়র বৃত্তি পরিক্ষার ক্ষেত্রেও অত্র বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করে আসছে। খেলাধুলার মানের দিক দিয়েও বিদ্যালয়টি জেলা ও আঞ্চলিক পর্যায়ে সুখ্যাতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক সংখ্যা ৩২ জন তার মধ্যে খÐকালীন ১৪ জন এবং অধ্যায়নরত ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ১৭২৪ জন। গর্বের বিষয় যে, বিদ্যালয়ের কতৃপক্ষ উন্নয়ন পরিকল্পনা মোতাবেক বিদ্যালয়ের নিজস্ব তহবিল হতে প্রতিবছরেই প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নমূলক কাজে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে থাকেন। যার নজির বা দৃষ্টান্ত বিদ্যালয়ের বর্তমান ভবন।
বিদ্যালয় ভবনটি শ্রেনিকক্ষ সহ অন্যান্য কক্ষের সংখ্যা ২৭ এর মধ্যে প্রধান শিক্ষক ১টি, শিক্ষক মিলনায়তন ১টি, কমন রুম ১টি, লাইব্রেরী ১টি, বিজ্ঞানাগার ১টি, কম্পিউটার ল্যাব ১টি, অডিটোরিয়াম ১টি, শ্রেনি কক্ষ ১৯টি। বিদ্যালয়ে রয়েছে ৩০০ আসনের একটি আধুনিক অডিটোরিয়াম, স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা, বিশুদ্ধ পানিয় জলের ব্যবস্থা, কম্পিউটার ল্যাব, বিজ্ঞানাগার, খেলার মাঠ সর্বপরি যুগোপযোগি আধুনিক মানের লাইব্রেরী। যা ছাত্র-ছাত্রীদের কলরবে মুখরিত হয়ে থাকে। কক্ষগুলোর মধ্যে কেবল মাত্র ৬টি কক্ষ সরকারি অনুদানে নির্মিত। অবশিষ্ঠ ২৩টি কক্ষের নির্মান ব্যয় প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব তহবিল হতে মেটানো হয়েছে। একমাত্র ছাত্র-ছাত্রীদের মাসিক বেতন ও স্থানীয় দানশীল ব্যাক্তিদের অনুদান ছাড়া বিদ্যালয়ের আয়ের কোন উৎস নেই। বিদ্যালয়ের এতটা উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে একমাত্র স্থানীয় জনসাধারনের আন্তরিক সাহায্য-সহযোগিতায়, বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও সুপরামর্শে। সর্বোপরি কর্মরত শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মচারীদের নিরলস ও অক্লান্ত পরিশ্রম, সহৃদয়তা, দায়িত্ব ও কর্তব্যনিষ্ঠা এবং আন্তরিক সহযোগিতার মাধ্যমেই বিদ্যালয়টি গুনগত মানের দিক দিয়ে জেলার মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে অন্যতম। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ১৯৯৩, ১৯৯৬, ২০১৬, ২০১৮,২০২৪ সালে যথাক্রমে জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক এর মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে বিদ্যালয়টি পুরষ্কার লাভের গৌরব ও খ্যাতি অর্জন করে।
পরিশেষে প্রতিষ্ঠানটিকে আরও সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে গড়ে তোলার জন্য সকলের সুচিন্তিত ও গঠনমূলক পরামর্শ এবং আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি, যাতে করে এটি একটি আদর্শ ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ হিসেবে পরিগনিত হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নবাবগঞ্জ পৌরসভাধীন নামোশংকরবাটী উচ্চ বিদ্যালয় সর্বপ্রথম ১৯২৭ ইং সালের তৎকালীন স্থানীয় জনগন ও সুধীবৃন্দের সাহায্য-সহযোগিতায় বাগানপাড়া গ্রামে জুনিয়র মাদ্রাসা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পরবর্তীকালে শিক্ষা নীতি পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে জুনিয়র মাদ্রাসাটি ১৯৬১ ইং সালে জুনিয়র হাই স্কুল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। দেশ স্বাধীন হবার পর এলাকাবাসী ছেলেমেয়েদের স্থানীয়ভাবে উচ্চ শিক্ষার বৃহত্তর স্বার্থে ও কল্যানে শিক্ষানুরাগী সুহৃদয় ব্যক্তিদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ও সার্বিক সহযোগিতায় ইং ১৯৭৩ সালে উচ্চ বিদ্যালয়ে উন্নীত হয়। কিন্তু উল্লেখিত স্থানে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার স্বীকৃতির শর্তানুযায়ী প্রয়োজনীয় পরিমান জমির সংকুলান না হওয়ায় বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত স্থানে প্রাথমিক পর্যায়ে ৪৫ শতক জমি খরিদ করে বিদ্যালয়ের ভিত্তি স্থাপন করা হয়। পরে স্থানীয় জনসাধারনের সাহায্য ও সহযোগিতায় বিদ্যালয় সংলগ্ন আরও কিছু জমি খরিদ করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ের মোট জমির পরিমান ১ একর ৭০ শতাংশ।
ইং ১৯৭৫ সালে অত্র বিদ্যালয় হতে ছাত্র-ছাত্রীরা সর্বপ্রথম এস.এস.সি পরিক্ষায় অংশ নিয়ে আশানুরূপ সাফল্য অর্জন করে। প্রতি বছর বিদ্যালয়ে জে.এস.সি ও এস.এস.সি পরিক্ষার ফলাফল সন্তোষজনক যা অদ্যাবধি প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও গৌরবের স্বাক্ষর বহন করে আসছে। তাছাড়া জুনিয়র বৃত্তি পরিক্ষার ক্ষেত্রেও অত্র বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করে আসছে। খেলাধুলার মানের দিক দিয়েও বিদ্যালয়টি জেলা ও আঞ্চলিক পর্যায়ে সুখ্যাতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক সংখ্যা ৩২ জন তার মধ্যে খÐকালীন ১৪ জন এবং অধ্যায়নরত ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ১৭২৪ জন। গর্বের বিষয় যে, বিদ্যালয়ের কতৃপক্ষ উন্নয়ন পরিকল্পনা মোতাবেক বিদ্যালয়ের নিজস্ব তহবিল হতে প্রতিবছরেই প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নমূলক কাজে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে থাকেন। যার নজির বা দৃষ্টান্ত বিদ্যালয়ের বর্তমান ভবন।
বিদ্যালয় ভবনটি শ্রেনিকক্ষ সহ অন্যান্য কক্ষের সংখ্যা ২৭ এর মধ্যে প্রধান শিক্ষক ১টি, শিক্ষক মিলনায়তন ১টি, কমন রুম ১টি, লাইব্রেরী ১টি, বিজ্ঞানাগার ১টি, কম্পিউটার ল্যাব ১টি, অডিটোরিয়াম ১টি, শ্রেনি কক্ষ ১৯টি। বিদ্যালয়ে রয়েছে ৩০০ আসনের একটি আধুনিক অডিটোরিয়াম, স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা, বিশুদ্ধ পানিয় জলের ব্যবস্থা, কম্পিউটার ল্যাব, বিজ্ঞানাগার, খেলার মাঠ সর্বপরি যুগোপযোগি আধুনিক মানের লাইব্রেরী। যা ছাত্র-ছাত্রীদের কলরবে মুখরিত হয়ে থাকে। কক্ষগুলোর মধ্যে কেবল মাত্র ৬টি কক্ষ সরকারি অনুদানে নির্মিত। অবশিষ্ঠ ২৩টি কক্ষের নির্মান ব্যয় প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব তহবিল হতে মেটানো হয়েছে। একমাত্র ছাত্র-ছাত্রীদের মাসিক বেতন ও স্থানীয় দানশীল ব্যাক্তিদের অনুদান ছাড়া বিদ্যালয়ের আয়ের কোন উৎস নেই। বিদ্যালয়ের এতটা উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে একমাত্র স্থানীয় জনসাধারনের আন্তরিক সাহায্য-সহযোগিতায়, বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও সুপরামর্শে। সর্বোপরি কর্মরত শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মচারীদের নিরলস ও অক্লান্ত পরিশ্রম, সহৃদয়তা, দায়িত্ব ও কর্তব্যনিষ্ঠা এবং আন্তরিক সহযোগিতার মাধ্যমেই বিদ্যালয়টি গুনগত মানের দিক দিয়ে জেলার মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে অন্যতম। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ১৯৯৩, ১৯৯৬, ২০১৬, ২০১৮,২০২৪ সালে যথাক্রমে জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক এর মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে বিদ্যালয়টি পুরষ্কার লাভের গৌরব ও খ্যাতি অর্জন করে।
পরিশেষে প্রতিষ্ঠানটিকে আরও সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে গড়ে তোলার জন্য সকলের সুচিন্তিত ও গঠনমূলক পরামর্শ এবং আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি, যাতে করে এটি একটি আদর্শ ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ হিসেবে পরিগনিত হয়।